মেহজাবিন চৌধুরী :
‘চীনকে আবিষ্কার করুন, সুখী জীবন উপভোগ করুন- এই প্রতিপাদ্যে ঢাকায় পালিত হলো চায়না পর্যটন দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ-আটাব ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্যে চায়না পর্যটন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে লি শাওফেং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ভৌগোলিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে। চীন সব সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দেয়। এসময় তিনি চীনের সমৃদ্ধ পর্যটন সম্পদ ও প্রাণবন্ত সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বেইজিং এবং ইউনানসহ চীনের বিভিন্ন প্রদেশ বাংলাদেশী পর্যটকদের ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জাতির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোএবং পারস্পরিক বন্ধুত্বকে গভীর করার সেতু হিসেবে পর্যটনের ভূমিকা অপরসীম। তিনি আশা করেন যে এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশী জনগণকে চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটনের সৌন্দর্যকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে,আর এর মাধ্যমেই দুই দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
পর্যটন ও সংস্কৃতি জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে উল্লেখ করে আবদুস সালাম আরেফ বলেন, চীন প্রচুর পর্যটন সম্পদের ভরপুর একটি দেশ। বেইজিং, সাংহাই, ইউনান, সিচাং(তিব্বত), সিচুয়ান, কুয়াংসি এবং শানসি-এর মতো শহর ও অঞ্চলসহ চীনের বিভিন্ন প্রদেশ বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় গন্তব্য। তিনি অভ্যন্তরীণ এবং বহির্মুখী পর্যটনের উন্নয়নে উভয় দেশের পর্যটন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আরও সহযোগিতার বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি নিজেদের কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং চীন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন করা হয় । এরপর ফিতা কেটে এক্সিবেশন হল উদ্বোধন করেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং। এসময় তিনি এক্সিবেশন সেন্টারটি ঘুরে দেখেন।
arthakarcha@gmail.com