সিমা আক্তার নিশা বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রেসিডেন্ট তিনি। পৈতৃকসূত্রে রাজধানীর বনানীতে জন্ম। এমবিএ করেন ২০১০ সালের শেষের দিকে। আইটি সেক্টর নিয়ে ‘রেভারি করপোরেশন’ নামে সফটওয়্যার কোম্পানির কর্ণধার, গেমিং ও আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালে উই-কে নিয়ে পথচলা শুরু তাঁর। এখনও চলছে।
দেশীয় পণ্য নিয়ে যেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপ কাজ করছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম হলো উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। ফেসবুকভিত্তিক এ গ্রুপটি সবাইকে তাক লাগিয়ে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন গ্রুপটির সদস্য ১৩ লাখ। এর মধ্যে উই প্ল্যাটফর্ম থেকে লাখপতি বের হয়েছে; এখন মিলিওনেয়ার তৈরি হচ্ছে। এই উই-এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশীয় পণ্য রপ্তানিতে উই বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের ই-কমার্সের প্রসারে উদ্যোগ, এর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, উদ্যোক্তাদের করণীয়সহ ভবিষ্যৎ নিয়ে নাসিমা আক্তার নিশা কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
চলতি মাসে শেষ হয়েছে জাতীয় এসএমই মেলা। এখানে আপনাদের কত জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন?
চলতি মাসে শেষ হওয়া জাতীয় এসএমই মেলায় আমাদের অনেক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছে। গত বারের তুলনায় এবার উদ্যোক্তাদের পার্টিসিপেশন অনেক বেড়েছে। আমরা তাদের শেখানোর চেষ্টা করেছি; বুঝিয়েছি প্রদর্শনীগুলোতে বেশি অংশগ্রহণ করলে নেটওয়ার্কিং অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। অনেকে হয়তো কেনে না, কিন্তু প্রয়োজনমতো ঠিকই সাজেস্ট করে। সব সময় আমরা সবাইকে নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর অনেক জোর দিতে বলি। এবারের এসএমই উদ্যোক্তা মেলায় বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণ করেছে। আমরা সবাই গিয়েছি, তাদের উৎসাহ দিয়েছি।
কী কী পণ্য নিয়ে কাজ করছে উই?
আমাদের উদ্যোক্তারা কিন্তু সম্পূর্ণ দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করে। এই গ্রুপের উদ্যোক্তারা বাইরের পণ্য নিজেরা কেনেন না, নিজেরা পরিধানও করেন না। শুধু দেশীয় শাড়ি নিয়ে কাজ করছেন বিষয়টি এমন নয়; তাঁরা মাটির তৈরি তৈজসপত্র, কাঁসার তৈরি তৈজসপত্র, শীতলপাটি, বাঁশ-বেতের পণ্য—যেসব পণ্য এক সময় হারিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আমাদের উই-বাসীরা আবার তা ফিরিয়ে এনেছে। এখনও কাজ করছে। অনেক তাঁতি আগে খেতে পারতেন না, তাঁদের কর্মসংস্থান হয়েছে উদ্যোক্তাদের কারণে। অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যাঁরা কখনও কাজ করেননি, কিন্তু তাঁরা এই কোভিড-১৯-এর সময়ে হাতে রান্না করা খাবার দিয়ে উদ্যোগ শুরু করেছেন। পোলাও-কোরমা, আচার রান্না, হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
আপনাদের গ্রুপের সর্বশেষ কী অবস্থা, কেমন চলছে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমরা এখন ১.৩ মিলিয়ন গ্রুপ মেম্বারের মাইলফলক অর্জন করেছি। ফেসবুক আমাদের নোটিশ করল। এই সংখ্যক মেম্বার কিন্তু এক দিনে হয়নি, অনেক সময় লেগেছে। লেগে থেকেছি। রুলস-রেগুলেশন মেনেছি; নিয়ম শুধু আমরা যে বানিয়েছি, এমনটা নয়; ফেসবুক আমাদের অনেক নিয়ম দিয়েছিল, যেগুলো আমরা সব সময় ফলো করেছি। অনেকগুলো ট্রেনিংয়ের আওতায় উদ্যোক্তাদের নিয়ে এসেছি। আমরা সেগুলোর মাধ্যমে নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করেছি। পণ্যের গুণগত মান ধরে রেখেছি। যে কারণে তাঁরা এখন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, উদ্যোক্তারা তাঁদের পণ্য দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরে পৌঁছে দিয়েছেন। এই গ্রুপের অনেকেই এখন এক্সপোর্ট করছেন। সব সম্ভব হয়েছে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিংগুলো করাই, তার মাধ্যমে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস্টার ক্লাসের মাধ্যমে অলরেডি ছয় হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ব্যাচ চলছে। আশা করছি, এভাবে আমরা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারব। এই গ্রুপ আরও এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এক্সপোর্টের দিকে বেশি ফোকাস করছি। আমার স্বপ্ন পৃথিবীর সব বড় বড় দেশে উই-এর শাখা থাকবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছি। ইনশা আল্লাহ, আমি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
এ পর্যন্ত উদ্যোক্তা হয়ে তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে স্বীকৃতিস্বরূপ কী পেলেন?
ইনোভেটিভ ওয়েতে উদ্যোক্তাদের সামনে নিয়ে আসা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট করানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার কারণে এ পর্যন্ত অনেক পুরস্কার পেয়েছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডব্লিউআইসিসিআই-২০১৯ অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা অ্যাওয়ার্ড, যেটা আমার জীবনের অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। বিষয়টি আসলেই খুব গর্বের একটা দিন ছিল। এ ছাড়া জেসিআই থেকে অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল বিজনেস সিএসআরের একটি অ্যাওয়ার্ড। এই পুরস্কার পাওয়া মানে কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া। আর কাজের একটি প্রাপ্তিস্বীকার পেলে বিষয়টা আসলেই ভালো লাগে। অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছি, এর মানে হলো কাজের গতি আরও বেড়ে গেল। আমার দায়িত্বটা আরও অনেক বেড়ে গেল। উদ্যোক্তা নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। বেঁচে থাকলে উদ্যোক্তাদের জন্য আরও অনেক বেশি কাজ করব।
অনেক লাখপতি তৈরি হয়েছে আপনাদের; কিন্তু এ পর্যন্ত আসা মোটেও সহজ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?
শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের উদ্যোক্তাদের ভেতরে একটি পজিটিভ বিষয় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে কারণে কোনও প্রকারের নেগেটিভিটি ছাড়াই উদ্যোক্তারা ভালো করেছে। লাখপতি হয়েছে। এখন মিলিওনেয়ার হচ্ছে। এ পর্যন্ত আসতে তাঁদের অনেক কষ্ট হয়েছে। আমাদেরও অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। যখনই নারীরা ভালো করছিল, তখনই শুরু হলো নেগেটিভ কমেন্টস। তখন তাঁদের অনেকেই হতাশ হয়ে যেতেন; আবার সেই জায়গাগুলোকে মেন্টরিং করে, গুছিয়ে তাঁদের মনোবলকে শক্ত করে, শিখিয়ে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে আবার পজিটিভ ভাবে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। আমরা শিখেছি, তাঁদের শেখাতে পেরেছি। এখন গ্রুপে হাজারেরও বেশি লাখপতি তৈরি হয়েছে, এখন মিলিওনেয়ার তৈরি হচ্ছে। হাফ সেঞ্চুরিয়ানও তৈরি হচ্ছে অনেক। আস্তে আস্তে সবাইকে আমরা সবার সামনে নিয়ে আসব।
আপনাদের গ্রুপে কি শুধুই নারী উদ্যোক্তা, না কি পুরুষও আছে?
আমাদের গ্রুপে নারীর উদ্যোগের পাশাপাশি কিন্তু পুরুষদেরও এক্সেস দিয়ে থাকি। আমরা বিশ্বাস করি, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা ঠিক নয়। নারীর ভেতর যেমন ম্যান আছে, তেমনই শি-এর মধ্যে হি-ও আছে। দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করা পুরুষ আমাদের এখানে ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছেন; কাজ করছেন।
উদ্যোক্তাদের আসলে কোন দিকে ফোকাস দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে?
যে সব উদ্যোক্তা সফল হয়েছেন, তাঁরা কিন্তু এক দিনে হননি। মনে রাখবেন, নতুন কিছু করার জন্য প্রথমে আপনার প্যাশন থাকতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। যদি প্যাশন থাকে, তাহলে সেই উদ্যোগটাকে সামনে নিয়ে যেতে পারবেন। আমি বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ডের মেয়ে, কিন্তু আইটি নিয়ে আমার একটা প্যাশন ছিল; যে কারণে আমার প্রফেশন আইটিতে নিয়ে এসেছি। প্যাশন ছিল বিধায় এটা সম্ভব হয়েছে। নারী হিসেবে একটি কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করে ছাড়ব এবং সেটা আমি করেছি। স্বপ্ন দেখবেন অনেক বড়, কিন্তু শুরু করবেন ছোট দিয়ে। আপনি অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন, বড় বাজেট নিয়ে শুরু করবেন না। তাহলে কিন্তু অনেক বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। শুরু করবেন ছোট থেকে, স্বপ্নটা থাকবে অনেক বড়। সেই টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনার ঘুমও হবে না, এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে হবে। মনে রাখবেন ফ্যাশন নয়, শুধু প্যাশন থাকতে হবে। আমি আইটি নিয়ে কাজ করছি, আমার বন্ধুও যদি ভাবে ও আইটিতে কাজ করবে, এটা ভুল। আইটিতে যদি কোনও প্যাশন না থাকে, তাহলে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। যে ইনভেস্ট করেছেন, সেটাই লস। এ জন্য সব সময় বলব, প্যাশনের সাথে থাকবেন, ফ্যাশনের সাথে নয়।
আপনি তো সফল; এই সফল হতে হলে কোন কোন টার্গেট নিয়ে এগোলে ভালো করা যাবে?
উদ্যোগ শুরু করার আগে সব সময় চিন্তা করবেন, উদ্যোগটা আমি কোথায় নিয়ে যেতে চাই। এক বছরের একটা টার্গেট করবেন। এর পর পাঁচ বছরের একটা টার্গেট এবং দশ বছরের একটা টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাবেন। প্রতিবছর সেই টার্গেট থেকে রিভিউ করবেন, আপনি কি সেই টার্গেটটা পূরণ করতে পারছেন, না কি পারছেন না? যদি ফুলফিল করতে না পারেন তাহলে কোন জায়গায় আপনার ঘাটতি আছে, সেটাকে নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে হবে, আপনাকে আরওয়াই করতে হবে। আপনি যে বিনিয়োগ করছেন, তার রিটার্ন কবে আসবে, সেই প্ল্যান আপনাকে করতে হবে। টোটাল বিজনেস প্ল্যান সেট করে যদি আপনি কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে সফল হবেন। অনেকেই বলে আগে শুরু করি; তার পর ফিন্যান্সিয়াল বিষয়ে পরিকল্পনা করব, এটা ভুল।
উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে যদি বলতেন…
উদ্যোক্তাদের জীবন কখনওই সাবলীল হয় না। রাস্তায় সব সময় কাঁটা থাকবে। একটা কাঁটা উঠে যাবে তো পরবর্তীতে আরেক কাঁটা আসবে। ভয় দেখাচ্ছি না। এই জায়গাগুলো আপনি সুন্দর করে প্ল্যান করে এগোতে পারেন। তাহলে সফল। প্রথমে যে বাধাগুলো আসে, তা হলো ফ্যামিলি থেকে। ফ্যামিলিকে সাথে নিয়ে চলব। পরিবার বাদ দিয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করব না। ফ্যামিলির সাপোর্ট না পেলে সামনের দিকে এগোনো যাবে না। এর পর যে বিষয়টিতে বাধা আসে, তা হলো ফান্ডিং। অনেক নারী উদ্যোক্তা আছে, দেখা যাচ্ছে, জমানো টাকাই নেই। তাহলে কীভাবে শুরু করবে। প্রথমে অল্প করে শুরু করবেন। চেষ্টা করবেন যে পরিবারের কাছ থেকে সাপোর্ট নিতে। ভুলেও সুদে লোন নিয়ে কোনও উদ্যোগ শুরু করবেন না। লোন নিয়ে শুরু করলে কিন্তু আপনি একটি লায়াবিলিটি ঘাড়ে নিয়ে শুরু করছেন। কখনওই টেনশন ফ্রি হয়ে কাজ করতে পারবেন না। এটা করবেন না। এর পর এফ-কমার্সের ডেলিভারির বিষয়ে চ্যালেঞ্জ আসে। ঢাকার বাইরে লাস্ট মাইল ডেলিভারি দেওয়া, এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। শহরের বাইরে থেকে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অবশ্যই অন্য একটা ডেলিভারি কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপ করে ফেলতে পারেন, অনেকখানি কাজ সহজ হয়ে যাবে। না হলে অনেক ইস্যু তৈরি হবে। আরেকটি সমস্যা হয় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি। ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ব্রডব্যান্ড কানেকশন যায়নি, ডাটা দিয়ে কাজ করতে হয়। এটা দিয়ে কাজ করলে পেজ মেইনটেইন করা, নিজের স্কিল ট্রেনিং করা অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায়। গ্রাম-পর্যায়ে যদি ব্রডব্যান্ড কানেকশন পুরোপুরি হয়ে যায়, ডাটার দাম কমানো যায়, তাহলে অনেক প্রবলেম সলভ হয়ে যাবে।
অনেকে আপনাদের মতো মডেলে বিজনেস করছে, তাদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
অনেক গ্রুপ এখন অনলাইনে কাজ করছে। একই টাইপের অনেক গ্রুপ এখন অনলাইনে আছে। আমাদের দেখাদেখি যদি কেউ করে, তাতে আমাদের সমস্যা নেই। যত ছড়াবে ততই ভালো। তবে হুবহু নাম দিয়ে, একই মডেল ফলো করে, তাদের বলব এটা করবেন না। অন্য কিছু করতে পারেন। দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন, অন্য যে কোনও কিছু নিয়ে কাজ করতে পারেন। আমি তাদের আহ্বান জানাই। নামগুলো একই রাখলে উদ্যোক্তারা কনফিউজড হয়ে যাবে। তখন আমাদেরও প্রবলেম হবে, আপনাদের প্রবলেম হবে। অনেক গ্রুপ অ্যামাউন্ট দিলে পোস্ট অ্যাকসেপ্ট করবে, এ রকম অনেক গ্রুপ আছে; কিন্তু আমাদের কোনও পোস্টে টাকা লাগে না, এটা টোটালি ফ্রি। সময় দিলে এখানে অনেক ভালো করা যায়।
নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু বলুন।
নতুন উদ্যোক্তা যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্য শুধু এটাই বলতে চাই যে আপনারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন। অল্পতেই হতাশ হয়ে যাবেন না। সাফল্য এক দিনে আসে না। তার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, সময় দিতে হয়। এখন সফলতার অনেক উদাহরণ আমাদের গ্রুপে রয়েছে। সুতরাং লেগে থাকুন। সময় দিন। স্কিল ডেভেলপ করুন। সফল হোন।