মেহজাবিন চৌধুরী :
পর্যটন শিল্পে দ্রুত গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে শুরু হলো ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এই মেলার উদ্বোধন করা হয়।
১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে বাংলাদেশসহ মালদ্বীপ, চায়না, ফিলিপিন, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভুটান, সিঙ্গাপুরের প্রায় শতাধিক পর্যটন সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় থাকছে আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশ ও বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটেল, রিসোর্ট বা প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা।
মেলার প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। প্রবেশ কুপণের বিপরীতে র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের জন্য থাকবে এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার। উদ্বোধনী দিন মেলা বিকেল ৩টায় শুরু হলেও অন্য দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনে থাকছে পর্যটন বিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজনেস টু বিজনেস মিটিং। মেলার প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে চায়না, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ মেলায় ১২০টি বুথে দেশ-বিদেশের পর্যটন প্রতিষ্ঠান, সরকারি পর্যটন সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাস অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইন্স, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর ও থিমপার্কসহ বিনোদনের আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।
পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, পর্যটন শিল্পে গতি ফেরাতে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করা এবং আঞ্চলিক পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সেতুবন্ধন করাই এই মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশও হতে পারে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য। পর্যটন একটি বহুমাত্রিক শিল্প। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অগ্রাধিকার বিবেচনায় পর্যটন শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অসীম সম্ভাবনাময় মাধ্যম। এজন্য দরকার যথাযথ পদক্ষেপ সমন্বিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা।
এই মেলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরার প্রচেষ্টা থাকবে বলেও জানান মহিউদ্দিন হেলাল। তিনি বলেন, পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি ও সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পর্যটক নিরাপত্তায় নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ‘টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ’ মেলায় অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতায় আছেন।
মেলার টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি মালদ্বীপ, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। ব্যাংকিং পার্টনার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, রিসোর্ট পার্টনার ছুটি রিসোর্ট, ট্রান্সপোর্ট পার্টনার কনভয় সার্ভিস, কানেক্টিভিটি পার্টনার এডিএন টেলিকম, ক্রুজ পার্টনার ঢাকা ডিনার ক্রুজ।
মেলার সাপোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে রয়েছে- ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আউট বাউন্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র, মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত শিউনিন রাশেদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান প্রমুখ।
arthakarcha@gmail.com