বিজ ক্রাইম ডেস্ক :
ময়মনসিংহে সিআইপি মোঃ আমিনুল হক শামীমকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বরাস্ট্র উপদেস্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তিনি দাবি করেন, কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এফআইআর করা হয়েছে। এ ব্যপারে রেজ্ঞ ডিআইজিকে একাধিক বার অবহিত করেও কোনো ফল পাননি বলেও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় কবরের কংকালকেও আসামী করা হয়েছে।
মোঃ আমিনুল হক শামীম তার আবেদনে উল্লেখ করে অভিযোগে বরেন,, গত ১৭ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজিকে পত্র মারফত বিস্তারিত অবহিত করেন। ডিআইজি কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী ও স্বাক্ষী হয়ে আরেকটি সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মিথ্যা মামলা করে যাহার মামলা নং-৩৬ । যেখানে ক্রমিক নং-৬৮, মোঃ শহিদুল ইসলাম কায়সার বহুদিন আগেই মারা গেছেন।
মামলায় ঘটনাস্থলে যাদের নেতৃত্বে মিটিং দেখানো হয়েছে তাদের অনেকেই ৫ আগষ্টের পর দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বিগত জুলাই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাগর হত্যা হওয়ার পর সর্ব প্রথম আমিনুল হক শামীম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে সাগর হত্যায় জড়িত কারা এবং তাদের শাস্তি দাবী করে পোস্ট করেন। তিনি তার সকল ব্যবসায়ীক কাগজপত্র যেখানে কোন রাজনৈতিক সুবিধা বা অবৈধ আয়ের উৎস রয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করার জন্য ডিআইজিসহ বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবহিত করেন। একইসাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রদান ও বিদেশ গমনাগমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। তবে তাতেও কোন কাজ হয়নি বলে উল্লেখ করেন।আমিনুল হক শামীম আরো উল্লেখ্য করেন, সাগর হত্যা মামলায় তাকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে উল্লেখ করে, যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এবং অসত্য।
উল্লেখ্য, আমিনুল হক শামীম ব্যক্তিগতভাবে একজন সাধারন ব্যবসায়ী। তিনি ৩ বার সিআইপি অর্জন লাভ করেন। এফবিসিসিআই’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতি। বিগত ২০১৬-২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তিনি জামালপুরে পড়ালেখা করেন। সেখানে তিনি ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
BIZ/PP/2738