এম এস সুমন :
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সিভিল এভিয়েশন প্রশিক্ষণ একাডেমি (সিএটিসি) প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মান উন্নয়নের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমি ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত হয়েছে সিলভার ক্যাটাগরিতে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এ তথ্য জানিয়েছে। এই স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও)।
গত বুধবার বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমানের হাতে সিলভার ক্যাটাগরির সনদ তুলে দেন আইকাও’র কাউন্সিল সভাপতি সালভাটোর সসিটানো এবং মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার।
এছাড়া সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীকেও ‘আইকাও আইএসডি সার্টিফাইট ইন্সট্রাকটর’ সনদ দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।
বেবিচক জানিয়েছে, গত সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডমিনিকান রিপাবলিকয়ের পুন্টাকানায়, আইকাও গ্লোবাল ইম্পলিমেন্টেশন সাপোর্ট সিস্টেম সম্পর্কিত এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সিভিল এভিয়েশন খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ আকাশ ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চারদিনের ওই সম্মেলনে বেবচিক চেয়ারম্যান ছাড়াও বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন সদস্য এয়ার কমডোর শাহ কাওছার আহমেদ চৌধুরী ও সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী অংশ নেন।
সম্মেলনে আইকাও সদস্যভুক্ত ২০টি দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ, প্রায় শতাধিক দেশের সিভিল এভিয়েশন সংস্থার প্রধান নির্বাহী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি গোলটেবিল বৈঠক, ৭টি প্যানেল সভা, ৩০টির বেশি দ্বিপক্ষীয় সভা, ট্রেইনার প্লাসয়ের আইকাও ট্রেনিং বিষয়ক দুটি কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবারের সিম্পোজিয়ামের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-“অপটিমাইজিং এভিয়েশন ক্যাপাসিটি: স্ট্র্যাটেজিক ফর সেফ স্কাইস; সাসটেনেবল ফিউচার”, যার মাধ্যমে আইকাও তার সদস্য রাষ্ট্রের সিভিল এভিয়েশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ আকাশ ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। সিম্পোজিয়ামের প্রথম দিনে আইকাও ট্রেইনার প্ল্যাস সদস্যভুক্ত বাষ্ট্রের সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং সংস্থার স্টিয়ারিং কমিটি মিটিং-আইকাও আইএসডি কোয়ালিফাইড ইন্সট্রাক্টর, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ট্রেনিং নিডস কোর্সে সিডিউল, গ্লোবাল এভিয়েশন স্কিল গ্যাপ, এভিয়েশন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিম্পোজিয়ামে আইকাও মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, হোয়ান কার্লোস সালাজারকে দ্বিতীয় মেয়াদে আইকাওয়ের মহাসচিব হিসেবে পুনঃনিয়োগ পাওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
আইকাওয়ের মহাসচিব বাংলাদেশে সিভিল এভিয়েশন কার্যক্রমের কলেবর বৃদ্ধি ও নিরাপদ যাত্রী সেবায় গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি আইকাওয়ের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। বেবিচক চেয়ারম্যান, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ও দিপাক্ষিত সহযোগিতা, আকাশ যোগাযোগ উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে আইকাও কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভে বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন লাভের বিষয়ে আলোচনা করেন।
সিম্পোজিয়ামে সাইড মিটিংয়ে বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি ওভারসাইট কার্যক্রমেদক্ষতা বৃদ্ধি ও আইকাও স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার জন্য আইকাওয়ের সিডিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষ সম্মত হয়। বেবিচকের সেফটি ওভারসাইট কার্যক্রমে নিয়োজিত পরিদর্শকদের কর্মদক্ষতা ও মানোন্নয়নে আইকাও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও প্রদক্ষেপ গ্রহণের কর্মসূচিও প্রদান করে।
sumonpress@gmail.com