সমি আল দ্বীন :
ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে সদ্য চালু হওয়া এয়ার প্রিমিয়ার টিকিট কেটে বিপত্তিতে শত শত যাত্রী। ফ্লাইট পরিচালনার এক মাস অতিবাহিত হতে না হতেই বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ -বেবিচকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া ১৩টি নির্ধারিত ফ্লাইটের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫টি ফ্লাইট বাতিল করে এয়ার প্রিমিয়া কর্তৃপক্ষ। এতে চরম দুর্ভোগে পরে ঢাকা-সিউল রুটের শত শত যাত্রী। জানা যায়, সপ্তাহে ১ টি নির্ধারিত ফ্লাইটের পরিবর্তে হুট করেই এয়ার প্রিমিয়া কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনে একটি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে বাধে এই বিপত্তি। ইতিমধ্যে এয়ার প্রিমিয়া ঢাকা -সিউল রুটে তাদের নির্ধারিত চলতি বছরের ১৪ ও ২১ নভেম্বর, ডিসেম্বরের ২ টি এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির ১ টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
বেশ ঘটা করে ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া রুটে গত ২৪ অক্টোবর সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু এয়ার প্রিমিয়া। ঢাকা-সিউল রুটে মাত্র ৩টি ফ্লাইট চালিয়ে তারা তাদের চার্টার ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হতে না হতেই প্রতিষ্ঠানটির এই ধরনের অনিয়ম দেশের এভিয়েশন সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
শুধু তাই নয় বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের টাকা ফেরতের ক্ষেত্রেও নানা গড়িমসি করছে এয়ার প্রিমিয়ার জিএসএ প্রতিষ্ঠান কে বি এভিয়েশন । যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল কোরিয়ার বাঙালি কমিউনিটিতে।
ইতিপূর্বে কেবি এভিয়েশনের সত্ত্বাধিকারীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে , কোন প্রতিষ্ঠানকে বেবিচক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার আগে তাদের সক্ষমতা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা আরও ভালো ভাবে যাচাই বাচাই করা জরুরি।
এদিকে সময়মত কোরিয়া যেতে না পারা ও টিকিটের টাকা ফেরত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। শারমিন নাহার মিনু নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন , এয়ার প্রিমিয়ার টিকেট কেটে তিনবার তারিখ পরিবর্তন খুবই দুঃখজনক। নির্মল পোদ্দার নামের আরেক যাত্রী বলেন, নতুন রুটে এই ধরনের অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়েও প্রতিষ্ঠানটি গড়িমসি করছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে,বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
PRD/2044/23-4662