তাপসী রয় :
তীব্র তাপদাহের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর দুই হাজার সাতশ কোটি ডলার সমমূল্যের উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর তাপদাহের এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতেই ৬০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে এবং প্রায় আড়াই লাখ পোশাক কর্মী কাজ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন-ওশি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ’পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কর্মক্ষেত্রে জৈবরাসায়নিক দূষণ’: (`Impact of Climate Change on Occupational Health and Safety and Biochemical Hazard in Workplace’) শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তাদের কথায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আলোচকরা, বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পথ খুঁজতে তাপদাহকে সরকারিভাবে দুর্যোগ ঘোষণা করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাপদাহের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে যে সকল শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালায় তাপদাহ নিঃসরণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শুষ্ক এলাকার জনগোষ্ঠির জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী গ্রহণ এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনে তাপদাহকে পেশাগত স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়লের অধ্যাপক ড শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
ড তৌহিদ তা্র বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তীব্র তাপদাহের কারণে এপ্রিল ও মে মাসে শ্রমিকরা তাদের মোট কর্মঘন্টার ২৫ ভাগ হারাতে পারেন এবং এর ফলে প্রাক্কলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর অধ্যাপক জোসিন্তা জিনিয়া এবং পেশাগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাসুম উল আলম।
আলোচনায় সভায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
sumonpress@gmail.com